بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ اَللّٰہُ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَۚ اَلۡحَیُّ الۡقَیُّوۡمُ ۬ ۚ لَا تَاۡخُذُہٗ سِنَۃٌ وَّ لَا نَوۡمٌ ؕ لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ مَنۡ ذَا الَّذِیۡ یَشۡفَعُ عِنۡدَہٗۤ اِلَّا بِاِذۡنِہٖ ؕ یَعۡلَمُ مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ مَا خَلۡفَہُمۡ ۚ وَ لَا یُحِیۡطُوۡنَ بِشَیۡءٍ مِّنۡ عِلۡمِہٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ ۚ وَسِعَ کُرۡسِیُّہُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ ۚ وَ لَا یَـُٔوۡدُہٗ حِفۡظُہُمَا ۚ وَ ہُوَ الۡعَلِیُّ الۡعَظِیۡمُ ﴿۲۵۵﴾বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা-হু ওয়াল হাইয়ুল কাইয়ূমু লা-তা’খুযুহূ ছিনাতুওঁ ওয়ালা-নাওম লাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূইল্লা-বিইযনিহী ইয়া‘লামু মা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম ওয়ালা-ইউহীতূনা বিশাইইম মিন ‘ইলমিহী ইল্লা-বিমা-শাআ ওয়াছি‘আ কুরছিইয়ুহুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ালা-ইয়াঊদুহু হিফজু হুমা-ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়ূল ‘আজীম।আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সুপ্রতিষ্ঠিত ধারক। তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করে না। তাঁর জন্যই আসমানসমূহে যা রয়েছে তা এবং যমীনে যা আছে তা। কে সে, যে তাঁর নিকট সুপারিশ করবে তাঁর অনুমতি ছাড়া? তিনি জানেন যা আছে তাদের সামনে এবং যা আছে তাদের পেছনে। আর তারা তাঁর জ্ঞানের সামান্য পরিমাণও আয়ত্ব করতে পারে না, তবে তিনি যা চান তা ছাড়া। তাঁর কুরসী আসমানসমূহ ও যমীন পরিব্যাপ্ত করে আছে এবং এ দুটোর সংরক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ, সুমহান। (সূরা আল-বাকারাহ:২৫৫)ফজিলতঃ ১। আয়াতুল কুরসি পড়ে বাড়ি থেকে বের হলে ৭০,০০০ফেরেস্তা চর্তুদিক থেকে তাকে রক্ষা করে। ২। এটি পড়ে বাড়ি ঢুকলে বাড়িতে দারিদ্রতা প্রবেশকরতে পারেনা। ৩। এটি পড়ে ঘুমালে সারারাত একজন ফেরেস্তাতাকে পাহারা দেন। ৪। ফরজ নামাযের পর পড়লে তার আর বেহেস্তের মধ্যএকটি জিনিসেরই দূরত্ব থাকে; তা হলো মৃত্য। এবংমৃত্য আযাব এতই হালকা হয়; যেন একটি পিপড়ার কামড়। ৫। ওজুর পর পড়লে আল্লাহর নিকট ৭০ গুন মর্যাদা বৃদ্ধি লাভ করে।(সহীহ হাদিস) ৬। জান্নাতের দরজা: আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল নুরে মুজাসসাম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোনো কিছু বাধা হবে না। [নাসায়ী] ৭। হজরত আলী রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা.-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসী নিয়মিত পড়ে, তার জান্নাত প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় হয়ে আছে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি বিছানায় শয়নের সময় পড়বে আল্লাহ তার ঘরে,প্রতিবেশির ঘরে এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন। [সুনানে বায়হাকী] ৮। মর্যাদাসম্পন্ন মহান আয়াত: আবু জর জুনদুব ইবনে জানাদাহ রা. রাসূল সা.-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল সা. ! আপনার প্রতি সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন কোন আয়াতটি নাজিল হয়েছে? রাসূল সা. বলেছিলেন, আয়াতুল কুরসী। [নাসায়ী] ৯। উবাই বিন কাব থেকে বর্ণিত, রাসূল সা: উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমার কাছে কুরআন মজীদের কোন আয়াতটি সর্ব মহান? তিনি বলেছিলেন, (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুআল্ হাইয়্যূল কাইয়্যূম) তারপর রাসূলুল্লাহ্ নিজ হাত দ্বারা তার বক্ষে আঘাত করে বলেন: আবুল মুনযির! এই ইলমের কারণে তোমাকে ধন্যবাদ। [সহীহ মুসলিম] ১০। যে দোয়া পড়লে মৃত্যুর আযাব হবে পিপড়ার কামড়ের সমানঃএকজন মুসলমানের জীবন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুন্দরভাবে অতিবাহিত করার জন্য অনেক দোয়া রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহ্ আত্নাকে বলেন, “বেরোও।” সে বলে, “না আমি স্বেচ্ছায় বেরোব না।” আল্লাহ বলেন, “অনিচ্ছায় হলেও, বেরোও।”রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- যখন মু’মিন-বিশ্বাসী বান্দার রূহ বেরোয় তখন ওর সাথে দু’জন ফেরেশতা দেখা (অর্থাৎ তা গ্রহণ) করে এবং তা নিয়ে দু’জনই ঊর্ধ্বে আরোহন করে। তারপর এর সুগন্ধির কথা উল্লেখ করা হয়। আসমানবাসিগণ বলে, “পৃথিবী থেকে একটি পবিত্র রূহের আগমন ঘটেছে। হে রূহ! তোমার প্রতি এবং যে দেহ তুমি আবাদ করছিলে, তার প্রতি আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক।” অনন্তর একজন ফেরেশতা তাকে নিয়ে তার প্রতিপালকের কাছে চলে যায়; তারপর তিনি বলেন, “তাকে শেষ সময়ের (অর্থাৎ কেয়ামত না হওয়া পর্যন্ত) জন্য নিয়ে যাও।”পক্ষান্তরে কাফিরের আত্না যখন বেরোয়, তখন এর দুর্গন্ধ ও অপবিত্রতার কথা উল্লেখ করা হয়। আসমানবাসিগণ বলে, “পৃথিবী থেকে একটি অপবিত্র রূহের আগমণ ঘটেছে।” আর এর সম্বন্ধে বলা হয়-“শেষ সময় পর্যন্ত রাখবার জন্য তাকে নিয়ে যাও।”হযরত আজরাঈল (আ) যখন জান কবজ করতে আসবেন, তখন মৃত্যু পূর্ব মুহুর্তে কষ্ট হবেই। তবে মহান আল্লাহ তায়ালার মমিন বান্দারা সেই কষ্টটা কম পেয়ে থাকেন। আল্লাহ পাক বলছেন, আল কোরআনে বর্ণিত ছোট্ট এই দোয়াটি পড়লে মৃত্যু আযাব হালকা হয়ে যাবে। দোয়াটিকে আমরা সবাই ‘আয়াতুল করসি’ বলেই জানি।
Member
بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ
ہُوَ اللّٰہُ الَّذِیۡ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ ۚ عٰلِمُ الۡغَیۡبِ وَ الشَّہَادَۃِ ۚ ہُوَ الرَّحۡمٰنُ الرَّحِیۡمُ ﴿۲۲﴾
ہُوَ اللّٰہُ الَّذِیۡ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ ۚ اَلۡمَلِکُ الۡقُدُّوۡسُ السَّلٰمُ الۡمُؤۡمِنُ الۡمُہَیۡمِنُ الۡعَزِیۡزُ الۡجَبَّارُ الۡمُتَکَبِّرُ ؕ سُبۡحٰنَ اللّٰہِ عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ ﴿۲۳﴾
ہُوَ اللّٰہُ الۡخَالِقُ الۡبَارِئُ الۡمُصَوِّرُ لَہُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی ؕ یُسَبِّحُ لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ۚ وَ ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۲۴﴾বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
২২। হুওয়াল্লাহুললাজি লা ইলাহা ইল্লাহু- আলিমুল গাইবি ওয়াশশাহাদাতি হুওয়ার রাহমানুর রাহিম।
২৩। হুওয়াল্লাহুল লাজি লা ইলাহা ইল্লাহু- আল মালিকুল কুদ্দুসুসসালামুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। সুবহানাল্লাহি আম্মা ইউশরিকুন।
২৪। হুওয়াল্লাহুল খালিকুল বারিউল মুছাওয়্যিরু লাহুল আসমাউল হুসনা। ইউসাব্বিহু লাহু মা ফিচ্ছামাওয়াতি ওল আরদি ওহুয়াল আজিজুল হাকিম।বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
২২। তিনিই আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই, তিনি অদৃশ্য এবং দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা; তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু।
২৩। তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই। তিনিই অধিপতি, তিনিই পবিত্র, তিনিই শান্তি, তিনিই নিরাপত্তা বিধায়ক, তিনিই রক্ষক, তিনিই পরাক্রমশালী, তিনিই প্রবল, তিনিই অতীব মহিমান্বিত; যারা তাঁর শরীক স্থির করে আল্লাহ তা হতে পবিত্র ও মহান।
২৪। তিনিই আল্লাহ, সৃজনকর্তা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, সকল উত্তম নাম তাঁরই। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।ফজিলতঃ
(১) যে ব্যক্তি সকালে তিনবার ‘আউজু বিল্লাহিচ্ছামিয়িল আলিমিমিনাশ শাইত্বানির রাজিম, পাঠ করার পর সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করবে তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা রহমতের দোয়া করবে। আবার সন্ধ্যায় পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত ঐ মর্তবা লাভ করবে এবং সে মারা গেলে শহীদের মৃত্যু হাসিল হবে।
(২) হাদিসে আছে, “যে ব্যক্তি সকালে তিনবার ‘আউ-যুবিল্লা-হি চ্ছামি-য়িলয়ালী-মিমিনাশশাইত-ন রিরজী-ম’ পাঠ করার পর সূরা হাশরে শেষের তিন আয়াত পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য সত্তর হাজার রহমতের ফেরেশতা নিযুক্ত করে দিবেন। তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত রহমতের জন্য দোয়া করবে। সেদিন সে মারা গেলে শহিদের মৃত্যু হাসিল হবে । যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এভাবে পাঠ করবে, সে-ও সকাল পর্যন্ত এই মর্তবা লাভ করবে”। (সুবহানআল্লাহ)
(৩) সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠের ফজিলততিরমিযি শরীফে হযরত মা’কাল ইবনে ইয়াসার (রাঃ) এর বর্ণিত রেওয়ায়েত ।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন : যে ব্যক্তি সকালে ৩ বার “আউযুবিল্লাহিস্সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতোয়ানির রাজিম” পাঠ করার পর
هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ
“হু আল্লা হুল্লাজী লা(আ) ইলাহা ইল্লা হু। আলিমুল গাইবী ওয়াশ শাহাদাতী হুয়ার রাহমানুর রাহীম।
هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ
হু আল্লা হুল্লাজী লা(আ) ইলাহা ইল্লা হু। আল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল ম্যু মিনুল মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। ছুব হানাল্লাহী আম্মা ইউশরিকুন।
هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَاء الْحُسْنَى يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
হু আল্লাহুল খালেকুল বারিয়্যুল মুছাওরেলাহুল আছমা(আ)উল হুছনা। ইউ ছাব্বিহু লাহু মা ফিছ ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়া হুয়াল আজীজুল হাকীম।
“সুরা হাশরের সর্বশেষ তিন আয়াত পাঠ করিবে । আল্লাহ তায়ালা তাহার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করে দিবেন,তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঠকারীর জন্য রহমতের দোয়া করবে। যেদিন এই আয়াত তিনটি পাঠ করিবে সেদিন পাঠকারী মারাগেলে শহীদের মউত হাসিল করিবে। যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এভাবে পাঠ করিবে সেও একই মর্তবা লাভ করিবে। (সুবহানআল্লাহ)
Member
بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ
اَللّٰہُ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَۚ اَلۡحَیُّ الۡقَیُّوۡمُ ۬ ۚ لَا تَاۡخُذُہٗ سِنَۃٌ وَّ لَا نَوۡمٌ ؕ لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ مَنۡ ذَا الَّذِیۡ یَشۡفَعُ عِنۡدَہٗۤ اِلَّا بِاِذۡنِہٖ ؕ یَعۡلَمُ مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ مَا خَلۡفَہُمۡ ۚ وَ لَا یُحِیۡطُوۡنَ بِشَیۡءٍ مِّنۡ عِلۡمِہٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ ۚ وَسِعَ کُرۡسِیُّہُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ ۚ وَ لَا یَـُٔوۡدُہٗ حِفۡظُہُمَا ۚ وَ ہُوَ الۡعَلِیُّ الۡعَظِیۡمُ ﴿۲۵۵﴾বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা-হু ওয়াল হাইয়ুল কাইয়ূমু লা-তা’খুযুহূ ছিনাতুওঁ ওয়ালা-নাওম লাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূইল্লা-বিইযনিহী ইয়া‘লামু মা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম ওয়ালা-ইউহীতূনা বিশাইইম মিন ‘ইলমিহী ইল্লা-বিমা-শাআ ওয়াছি‘আ কুরছিইয়ুহুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ালা-ইয়াঊদুহু হিফজু হুমা-ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়ূল ‘আজীম।আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সুপ্রতিষ্ঠিত ধারক। তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করে না। তাঁর জন্যই আসমানসমূহে যা রয়েছে তা এবং যমীনে যা আছে তা। কে সে, যে তাঁর নিকট সুপারিশ করবে তাঁর অনুমতি ছাড়া? তিনি জানেন যা আছে তাদের সামনে এবং যা আছে তাদের পেছনে। আর তারা তাঁর জ্ঞানের সামান্য পরিমাণও আয়ত্ব করতে পারে না, তবে তিনি যা চান তা ছাড়া। তাঁর কুরসী আসমানসমূহ ও যমীন পরিব্যাপ্ত করে আছে এবং এ দুটোর সংরক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ, সুমহান। (সূরা আল-বাকারাহ:২৫৫)ফজিলতঃ
১। আয়াতুল কুরসি পড়ে বাড়ি থেকে বের হলে ৭০,০০০ফেরেস্তা চর্তুদিক থেকে তাকে রক্ষা করে।
২। এটি পড়ে বাড়ি ঢুকলে বাড়িতে দারিদ্রতা প্রবেশকরতে পারেনা।
৩। এটি পড়ে ঘুমালে সারারাত একজন ফেরেস্তাতাকে পাহারা দেন।
৪। ফরজ নামাযের পর পড়লে তার আর বেহেস্তের মধ্যএকটি জিনিসেরই দূরত্ব থাকে; তা হলো মৃত্য। এবংমৃত্য আযাব এতই হালকা হয়; যেন একটি পিপড়ার কামড়।
৫। ওজুর পর পড়লে আল্লাহর নিকট ৭০ গুন মর্যাদা বৃদ্ধি লাভ করে।(সহীহ হাদিস)
৬। জান্নাতের দরজা: আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল নুরে মুজাসসাম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোনো কিছু বাধা হবে না। [নাসায়ী]
৭। হজরত আলী রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা.-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসী নিয়মিত পড়ে, তার জান্নাত প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় হয়ে আছে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি বিছানায় শয়নের সময় পড়বে আল্লাহ তার ঘরে,প্রতিবেশির ঘরে এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন। [সুনানে বায়হাকী]
৮। মর্যাদাসম্পন্ন মহান আয়াত: আবু জর জুনদুব ইবনে জানাদাহ রা. রাসূল সা.-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল সা. ! আপনার প্রতি সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন কোন আয়াতটি নাজিল হয়েছে? রাসূল সা. বলেছিলেন, আয়াতুল কুরসী। [নাসায়ী]
৯। উবাই বিন কাব থেকে বর্ণিত, রাসূল সা: উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমার কাছে কুরআন মজীদের কোন আয়াতটি সর্ব মহান? তিনি বলেছিলেন, (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুআল্ হাইয়্যূল কাইয়্যূম) তারপর রাসূলুল্লাহ্ নিজ হাত দ্বারা তার বক্ষে আঘাত করে বলেন: আবুল মুনযির! এই ইলমের কারণে তোমাকে ধন্যবাদ। [সহীহ মুসলিম]
১০। যে দোয়া পড়লে মৃত্যুর আযাব হবে পিপড়ার কামড়ের সমানঃএকজন মুসলমানের জীবন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুন্দরভাবে অতিবাহিত করার জন্য অনেক দোয়া রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহ্ আত্নাকে বলেন, “বেরোও।” সে বলে, “না আমি স্বেচ্ছায় বেরোব না।” আল্লাহ বলেন, “অনিচ্ছায় হলেও, বেরোও।”রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- যখন মু’মিন-বিশ্বাসী বান্দার রূহ বেরোয় তখন ওর সাথে দু’জন ফেরেশতা দেখা (অর্থাৎ তা গ্রহণ) করে এবং তা নিয়ে দু’জনই ঊর্ধ্বে আরোহন করে। তারপর এর সুগন্ধির কথা উল্লেখ করা হয়। আসমানবাসিগণ বলে, “পৃথিবী থেকে একটি পবিত্র রূহের আগমন ঘটেছে। হে রূহ! তোমার প্রতি এবং যে দেহ তুমি আবাদ করছিলে, তার প্রতি আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক।” অনন্তর একজন ফেরেশতা তাকে নিয়ে তার প্রতিপালকের কাছে চলে যায়; তারপর তিনি বলেন, “তাকে শেষ সময়ের (অর্থাৎ কেয়ামত না হওয়া পর্যন্ত) জন্য নিয়ে যাও।”পক্ষান্তরে কাফিরের আত্না যখন বেরোয়, তখন এর দুর্গন্ধ ও অপবিত্রতার কথা উল্লেখ করা হয়। আসমানবাসিগণ বলে, “পৃথিবী থেকে একটি অপবিত্র রূহের আগমণ ঘটেছে।” আর এর সম্বন্ধে বলা হয়-“শেষ সময় পর্যন্ত রাখবার জন্য তাকে নিয়ে যাও।”হযরত আজরাঈল (আ) যখন জান কবজ করতে আসবেন, তখন মৃত্যু পূর্ব মুহুর্তে কষ্ট হবেই। তবে মহান আল্লাহ তায়ালার মমিন বান্দারা সেই কষ্টটা কম পেয়ে থাকেন। আল্লাহ পাক বলছেন, আল কোরআনে বর্ণিত ছোট্ট এই দোয়াটি পড়লে মৃত্যু আযাব হালকা হয়ে যাবে। দোয়াটিকে আমরা সবাই ‘আয়াতুল করসি’ বলেই জানি।
Member
Mb price kokon kombe
Member
Package price ato high keno
Member
14 tarik
Member
Ak somoy hola e hosse
Member